চলতি বছরে এখন অবধি আটজন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে। কেবল নভেম্বরেই আত্মহত্যা করেছেন তিনজন।
বিশেজ্ঞদের মতে, দেশে আত্মহত্যার ঘটনাগুলো ঘটছে অচরিতার্থ প্রেম, বিচ্ছেদ, লেখাপড়ার চাপ, পারিবারিক চাপ, বেকারত্ব এবং হতাশার কারণে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারপার্সন ও স্টুডেন্টস কাউন্সিল এবং গাইড্যান্স সেন্টারের পরিচালক মেহজাবিন হক বলেন, প্রেমে ব্যর্থতা, আত্মবিশ্বাসের অভাব এবং পারিবারিক সমস্যার কারণে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের মনে রাখতে হবে যে আত্মহত্যা কখনো সমাধান হতে পারে না। সব মানুষকেই তাদের জীবনে সঙ্কটের মধ্য দিয়ে যেতে হবে, কিন্তু আত্মহত্যার পথে সমাধান নেই।’
শিক্ষার্থীদের কাউন্সেলিং সেন্টারগুলোয় যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, যদিও মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নেয়া উচিত, বাংলাদেশে এটি সাধারণভাবে উপেক্ষিত হয়ে থাকে।
‘যে কোনো সংকট মোকাবেলায় শিক্ষার্থীদের নিজেদের ভেতরকার শক্তি খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করা, ইতিবাচক জীবনদৃষ্টি গড়ে তোলা এবং যে কোনো পরিস্থিতি স্বাভাবিকভাবে সামাল দেয়া উচিত।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক একেএম গোলাম রব্বানি ইউএনবিকে বলেন, ‘আমাদের মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়া একটি গভীর উদ্বেগের বিষয়। আমি জীবনকে এভাবে উপেক্ষা না করতে তাদের অনুরোধ করছি। তাদের বোঝা উচিত; তাদের জীবন তাদের পরিবার ও জাতি উভয়ের কাছে অত্যন্ত মূল্যবান।’